ডাইনিং স্পেস থেকে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ পথের দেয়ালটার উপরের অংশটুকু অর্ধচন্দ্রাকৃতি। অর্ধচন্দ্রাকৃতি অংশের ঠিক মাঝখানটায় ড্রয়িংরুমের দিকের বেশ উঁচুতে কাঠের একটা ছোট শিল্পকর্ম- একটা পরী উড়ে যাচ্ছে, তার হাতে সুঁতো ধরা। নীচে নেমে আসা সুঁতোর মাথায় ঝুলে আছে কয়েকটা সুদৃশ্য কাঁচের টুকরা! নাড়া পড়লেই ওই কাঁচের টুকরাগুলি ঝর্ণার মত হেসে উঠে। একটা আরেকটার গা ছুঁয়ে দিয়ে টুং টাং শব্দে সুর তোলে।
সামাদ মাষ্টার এরকম জিনিস আগে কোনদিন দেখেনি, অবশ্য দেখার কথাও না। একেবারে অজপাড়াগাঁ বলতে যা বুঝায় এমনি এক গ্রামে তার বাড়ি। এবং ওই গ্রামেরই একটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সে। স্কুল সামলে চার ছেলেমেয়ে, স্বামী স্ত্রী, এই ছয়জনের সংসারে বিঘা পাঁচেক জমি, গোটা কয়েক গরু ছাগল দেখভাল করতেই তার আর কোন সময় অবশিষ্ট থাকে না। কাজেই বাইরের দুনিয়ার অনেক কিছুই তার অদেখা, অচেনা আর অজানা।
আশে পাশে কেউ না থাকলেই সে জিনিসটার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। গভীর দৃষ্টি দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে তা দেখে। সামান্য নেড়ে দেয়, টুং টাং সুর উঠে। খুব মন দিয়ে মিষ্টি ধ্বনিটা সে কানের পর্দায় মাখিয়ে নেয়। জিনিসটার নামটা জানার ইচ্ছেটা প্রবল হয়। কিন্তু লজ্জাবোধের কারণে কারও কাছ থেকে ওটার নামটা সে জেনে নিতে পারে না।
সুলতান তার বাল্য বন্ধু। সে আর তার বউ বার বার করে বলেছে। লজ্জা পেলে চলবে না যখন যা চাই তা নিজের মনে করে চেয়ে নিতে হবে। কাজেই জিনিসটার নামটা জেনে নেয়ায় কোন অসুবিধা নেই। তবু সামাদ মাষ্টার কেন জানি পারে না। যদিও সে স্কুলে তার ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রায়ই বলে- সবার সব কিছু জানা থাকবে চেনা থাকবে এমন কথা নয়। কাজেই জেনে নিতে, চিনে নিতে মনে কোন লজ্জা সংকোচ রাখা ঠিক না।
সুলতান মহা ব্যস্ত মানুষ। সকাল সকাল সে ঘর ছেড়ে যায়। তার বউ ছেলে মেয়ে স্কুল কলেজে পাঠানো, রান্না বান্না ঘর দোরের কাজ কামের তদারকি করতে করতেই বেলা বয়ে যায়। সামাদ মাষ্টারের দিনের বেলা শুয়ে থাকার অভ্যাস নেই কাজেই সে ড্রইংরুমে বসেই কাটায়। কয়েকদফা করে প্রতিদিনের পত্রিকা পড়ে। বসে থেকে থেকে সে কান্ত হয়ে পড়ে। দেয়াল সমান টেলিভিশন তাতে তার কোন আগ্রহ নেই। সে ড্রইং রুমে পায়চারী করে কাটায়। ঘুরে ফিরে ঐ জিনিসটার কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। অনেক অনেক ভাললাগা চোখে দেখে। আশে পাশে কোন লোক দেখা না গেলেই সে ওটায় নাড়া দেয়। মিঁহি টুং টাং সুরটা খুব ভাল লাগে। বার বার শুনতে ইচ্ছে হয়। নিজের বয়স তার উপর বন্ধুর বাড়ি- বিষয় দুটো বিবেচনায় এলেই সে আড়ষ্ঠ হয়, তার মুখটা লাল হয়ে উঠে।
শীত বর্ষা বার মাস মাথায় শরীরে তার সরিষার তেল মাখার অভ্যাস। নিজের বউ, ছেলে মেয়েরা তেলমাখা নিয়ে নানা কথা বলে। তেল মেখে মেখেই নাকি সে সুন্দর চেহারাটা কাল কুচকুচে করে ফেলছে। অভ্যাস, শরীরে তেল না মাখলে নিজেকে মরা গাছের মত মনে হয়। শরীর খসখস করে, হাত পায়ের দিকে তাকালে কেমন ছাই রঙা দেখায়। তিন দিন হয়ে যায়। সামাদ মাষ্টার কারও কাছে একটু তেল চেয়ে নিয়ে গায়ে মাখতে পারে না। লজ্জা লাগে। দিনে কয়েকবার জিনিসটাকে নাড়ায়, তবু কারও কাছ থেকে জিনিসটার নাম জেনে নিতে পারে না- টুং টাং শব্দটা তার খুব ভাল লাগে! লজ্জাও লাগে!
সংসারের চিরাচরিত কিছু দুঃখ কষ্টের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেলেও সামাদ মাষ্টার সুখী মানুষ। বন্ধু শহরে এসে ভাল করেছে, অনেক বড় হয়েছে, বাড়ী গাড়ি করেছে এসবেও নিজে সুখ বোধ করে। বন্ধুর উন্নতি তার মনে কোন ঈর্ষা জাগাতে পারে না। সুখী মানুষের ঈর্ষা, হিংসা থাকে না।
বন্ধু সুলতান সুখী মানুষ! অনেক অনেক সুখী। তার টাকা পয়সা অর্থ সম্পদের কোন হিসেব নেই। সামাদ মাষ্টারের মনে হয় জিনিসটা টুং টাং করে তার বন্ধুর সুখের গানই গেয়ে যায়। যদিও বউ ছেলে মেয়ে নিয়ে পাঁচ বিঘা জমির সংসারে সেও সুখী।
সামাদ মাষ্টার বুঝতে পারে দুজনের সুখ দুরকমের। স্কুলের সময় অনেক দিন জামাকাপড়টা কোন মত গায়ে গলিয়ে সে নিজের খাঁটের উপর বসেই দুটো গো-গ্রাসে খাওয়ার চেষ্টা করে। তাতে কোনদিন বিছানায় পানি পড়ে। পাটি ভিজে, কাঁথা ভিজে। ছেড়ে যাওয়া মোচড়ানো লুঙ্গি কোথায় ফেলে যায় তার কোন হদিসই সে রাখে না। হয়ত তড়িঘড়ি করে যেতে যেতে সে দেখে রান্নাঘরে ছাগল লবনের বৈয়াম কাত করে ফেলে লবণ খাওয়ার চেষ্টা করছে। তার সুখ আছে তবে সংসার শ্রীহীন অগোছালো। বন্ধু সুলতানের সংসার গোছানো, সুপরিপাটি- প্রতিটি জিনিস নির্দিষ্ট আর তাদের স্থানও নির্ধারিত। জিনিসটার টুং টাং তাই এত সুন্দর, মোহনীয়।
প্রতিদিন বিকেলে বের হয়ে বেশ রাত পর্যন্ত সে বন্ধুর সাথে ঘুরে ঘুরে ঢাকা শহর দেখেছে। পার্কের ঢাকা, রেষ্টুরেন্টের ঢাকা, সন্ধ্যার ঢাকা, রাতের ঢাকা দেখে দেখে সামাদ মাষ্টার একেবারে মুগ্ধ। ঢাকা শহর যেন সারাণ টুং টাং সুখের শব্দধ্বনিতে ভাসছে। সেই শব্দে নেচে গেয়ে মানুষ হাসছে, চলছে, ফিরছে, ভাসছে।
রাত পোহালেই সামাদ মাষ্টার বাড়ি ফিরবে। গুণে গুণে চারটা দিন কাটিয়ে সে হাঁপিয়ে উঠেছে। নিজের সংসার ছেলে মেয়ের কথা মনে হতেই বুকের ভেতরটা কেমন হুঁ হুঁ করে উঠে। চৈত্রের ভর দুপুরের বাউকুড়ালি বুকের ভিতর মড়্মড় খচ্খচ্ করে।
সন্ধ্যার পর থেকেই দু একজন করে আসতে আসতে বাসাটা একেবারে ভরে যেতে লাগল। ড্রইংরুমেরই একটা সোফা দখল করে বসে থেকে সামাদ মাষ্টার দেখল মিনিটে মিনিটে সুলতান আর তার বউয়ের ব্যস্ততা বেড়েই চলেছে। একবার চোখে চোখ পড়তেই সুলতান থমকে দাঁড়াল- দোস্ত, বুঝতেই তো পারছিস বিজয় দিবসের রাত! বন্ধুবান্ধব নিয়ে একটু আনন্দ ফূর্তি না করলে চলে!
বাসাটা মানুষের ভীড়ে উপচে পড়ার যোগাড় হল। হৈ, হুল্লোড়, হাসাহাসি আর চিৎকার চেঁচামেচি- খাওয়া দাওয়া। একেবারে এলাহী কারবার। নানা বর্ণ গঁন্ধের খাবার দাবার লোকজন মেলায় ছুঁড়ে মারা বাতাস কুঁড়ানোর মত করেই ডাইনিং টেবিল থেকে তুলে নিচ্ছে। জায়গায় কম তাই যে যার মত করে যেখানে খুশি সেখানেই বসেই খাচ্ছে।
সুলতান বেশ ব্যাকূলভাবে তার বউকে একবার তাড়া দিল সামাদ মাষ্টারকে খাবার দেয়ার জন্য। তার বউ চোখ টিপ্ েকী জানি বুঝাতে চেষ্টা করল। সামাদ মাষ্টার কিছুই বুঝতে পারল না। স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়েই সুলতানের বউ হাসি মুখে বলল- হাসান ভাই আসুক, তোমরা একসাথে বসবে!
বেশ রাত করে লোকটা এল। সুলতানের বউ কাজ ফেলে শাড়ীর আঁচলে হাত মুছতে মুছতে ছুটে এসে অনুযোগের গলায় বলল- হাসান ভাই আপনি এত্ত দেরি করলেন? আপনি না এলে কী আর জমে? সব কেমন খালি খালি লাগছিল।
লোকটা হাসিমুখে বউয়ের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা সুলতানের দিকে হাতটা এগিয়ে দিল। তারপর একে একে সবার সাথে হাত মিলাতে মিলাতেই সোফায় বসে থাকা সামাদ মাষ্টারের দিকে তাঁকাল। সুলতানের বউ দ্রুত পায়ে বোধ হয় কিচেনের দিকে ছুটে গেল। সুলতান এগিয়ে এসে বলল- ও সামাদ, আমার মেহমান মানে আমরা ছোটবেলা একসাথে লেখপড়া করেছি।
বাল্য বন্ধু! সহপাঠী- হাসান সাহেব সুলতানের এলোমেলো কথাগুলিকে যেন সুবিন্যস্ত করে দিয়ে ডান হাতটা সামাদ মাষ্টারের দিকে এগিয়ে দিলেন।
একটা সোফায় বসে পড়ে সামাদ মাষ্টারের দিকে তাঁকিয়ে বললেন- তা ভাই আপনি কী করছেন?
ও মাষ্টার, আমাদের গ্রামেরই প্রাইমারী স্কুলে ও শিকতা করে।- সুলতানই বন্ধু সামাদ মাষ্টারের হয়ে উত্তরটা দিয়ে দেয়।
খুব ভাল। শিকতাকে যা-তা ভাববার কোন সুযোগ নেই। চোখের সামনে অনেক মাষ্টারকে ঢাকা শহরে বাড়ি করতে দেখলাম। মাষ্টারি আজকাল ভাল কোন ব্যবসার চেয়ে কম না!
কারও হাতের ধাক্কা লেগে জিনিসটা সবে বেঁজে উঠতে যাচ্ছিল। সামাদ মাষ্টারের বুকের মাঝে লোকটার কথাগুলি যেন খচ্ করে ছুরির ফলার মত ঢুকে গেল। টুং টাং শব্দটা সে হারিয়ে ফেলল।
না, গ্রামের স্কুলতো আসলে ওরকম কোন সুযোগ- সুলতান সামাদ মাষ্টারের হয়ে কৈফিয়ত দিতে চাইল।
তারপরও- হাসান সাহেবের ভারী ভরাট গলায় কাঁশির একটা ধমক বয়ে যায়।
আসলে ও অতটা বৈষয়িকও না- সুলতান আত্মসমর্পন করার মত করে আবার বলল।
বোকা! বোকাদেরই বৈষয়িক নয় বলে পরিচয় দিতে হয়- লোকটা সোফায় আয়েশ করে হেলিয়ে পড়তে পড়তে বলল।
দেখ, কেউ এক টাকার মাল দু’টাকায় বিক্রি করেও ব্যবসা করতে পারে না। আবার কেউ এক টাকার মাল এক টাকায় বিক্রি করেই ব্যবসা সফল হয়!- হাসান নামের লোকটা বলল।
বুঝান, ভাই ওকে একটু ভাল করে ব্যবসাটা বুঝিয়ে দিন- সুলতানের বউ কোথা থেকে যেন ছুটে এসে লোকটার সহায়তা চাইল।
আহ্! আমি তো আর সিমেন্টের ব্যবসা করছি না যে মাঝ রাতে দশ বস্তা খুলে এগার বস্তা বানিয়ে ফেলব। আমার ব্যবসা সরকারের সাথে। চল্লিশ টাকা খরচ করে আমি তো একশ টাকা ঘরে তুলে আনছি- সুলতান বউয়ের কাছে খাটো হতে চাইল না।
তর্ক, হাসি উচ্ছ্বাসের তোড়ে ডাইনিং, ড্রয়িং ফেঁটে পড়ার উপক্রম হয়। কেউ হলিউড, কেউ বলিউড, কেউ আবার দেশী সিনেমার শ্রাদ্ধ, দু’এক জন হিন্দী গানের বুঝতে না পারা লিরিকের শব্দার্থ নিয়ে আসর গরম করে তোলে। রাতের সাথে পাল্লা দিয়ে হাসি আনন্দ, আলোচনার বিষয় বাড়তে থাকে। একসময় সামাদ মাষ্টারের মনে হয় সবকিছু থেকে বাংলাদেশটা ক্রমশ: নাই হতে হতে একেবারে হারিয়ে যাচ্ছে।
তার মাথাটা ঝিমঝিম করতে থাকে। সে দু’হাতে কপালের দুপাশের শিরা চেপে ধরে। লোকজন ড্রইংরুম ডাইনিংরুম করছে। নানা রকমের খাবার দাবারের প্লেট বাটি, ট্রে এঘর থেকে ওঘরে যাচ্ছে, আসছে। এর ওর হাতের, এটা ওটার নাড়া লেগে জিনিসটা টুং টাং শব্দ করে অনবরত বেজেই যাচ্ছে। কিন্তু সামাদ মাষ্টারের কানে জিনিসটার শব্দ আর সুরেলা লাগছে না, বড় এলোমেলো বেসুরো লাগছে।
হাসান সাহেবের খাবারের সাথে সুলতান আর সামাদ মাষ্টারের খাবারও আসে। সুলতানের আরও কিছু কাছের মানুষ একটু আলাদা, একটু অন্যরকমভাবে ঘনিষ্ঠ হয়ে বসে। সবাই হামলে পড়ে খেতে থাকে। সুলতানের বউ একটা বোতল রেখে ঢেকে সবার গ্লাসে একটু একটু করে ঢেলে দেয়। তরলের রং দেখেই সামাদ মাষ্টারের দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।
একসময় একটা গ্লাস বাড়িয়ে দিয়ে সুলতানের বউ তার চোখের দিকে তাঁকায়। সামাদ মাষ্টার আর্তনাদ করার মতই দুহাত নেড়ে না না করে উঠে।
হাসান সাহেব ঢক্ ঢক্ করে তার গ্লাসের তরলটুকু নিজের গলায় ঢেলে দিয়ে একটা ঢেঁকুর তুলে বলল- নিন, একটু নিন চেঁখে দেখুন। আরে ভাই বহুত দামী জিনিস। সাধ আহলাদ পুরা করার সময় সুযোগ সব সময় পাওয়া যায় না। অমন মিঁউ মিঁউ করছেন কেন? আরে ভাই, মাষ্টারদেরওতো বাচ্চা কাচ্চা হয় নাকি!
সুলতানের বউ শরীরে ঢেউ তুলে ফিক্ করে হেসে দেয়। বোতলের কিছুটা তরল সামাদ মাষ্টারের জামার উপর ছিটকে পড়ল। ওয়াক্ করে শব্দ করেই সে দাঁড়িয়ে পড়ল। কোন বেসিনের দিকে না গিয়ে মূল দরজার দিকে এগিয়ে গিয়ে ভারী দরজাটা ঠেলে সামাদ মাষ্টার বাইরে বেরিয়ে পড়ল।
অপবিত্র প্রেতের আসর থেকে সামাদ মাষ্টার যেন মুক্তি পেয়েছে। ফুটপাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে তার আকাশ দেখতে ইচ্ছে করে। মুখ তুলে উপরের দিকে তাঁকিয়ে সে আকাশ খুঁজে পায় না। মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকা বড় বড় ল্যাম্পপোষ্টগুলি যেন হালকা সোনা ঝরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোনভাবেই আকাশ দেখা যাচ্ছে না। প্রত্যেকটা বাতি এক একটা গোলক হয়ে আকাশটাকে ঢেকে রেখেছে। সামাদ মাষ্টার খুব মনোযোগ দিয়ে দেখে বাতিগুলি কৃত্রিম সোনা ঝরিয়ে গেলেও একটি অসুন্দর কালো চাঁদরে পুরো আকাশ ঢেকে দিয়েছে।
নক্ষত্র খচিত একটা গাঢ় নীল আকাশ দেখার জন্য সামাদ মাষ্টারের মনটা আকুলিবিকুলি করতে থাকে। রাতের শেষ বাসটা গতি কমাতে কমাতে তার দিকেই এগিয়ে আসতে থাকে। একেবারে কাছে আসতেই হেলপারটা ঘুম আর কান্তি মেশানো গলায় একবার চিৎকার করে- সায়দাবাদ! সায়দাবাদ!
সে বাসের পাদানিতে পা রেখে টুপ্ করে দেহটা বাসের ভিতরে গলিয়ে দেয়। সায়েদাবাদ থেকে সকালের প্রথম বাস ধরেই বাড়ি ফিরতে হবে। অগোছালো বাড়ির সুখের আঙিনায় দাঁড়িয়ে সে নীল আকাশ দেখবে। বন্ধুর বাসার ধাতব টুকরোগুলির টুং টাং শব্দ তার মন থেকে মুছে গেছে। মন থেকে মুছে যাওয়া জিনিস নিয়ে মানুষের কোন ভাবনা থাকে না, সামাদ মাষ্টারেরও নেই!
২২ জানুয়ারী - ২০১১
গল্প/কবিতা:
৩২ টি
সমন্বিত স্কোর
৬.৩
বিচারক স্কোরঃ ৩.৭৩ / ৭.০
পাঠক স্কোরঃ ২.৫৭ / ৩.০
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪